Thursday, May 9, 2024
Home Blog

জেন্টেলম্যান হাসান মাহমুদ

প্রতিপক্ষকে আউট করে উল্লাসে মেতে উঠলে তার মন খারাপ হতে পারে তাই উদযাপনই করেন না হাসান মাহমুদ। পেস বোলাররা হন আগ্রাসী, খুনে মেজাজের, এক বিন্দু ছাড় দিতে নারাজ থাকেন তারা। সেখানে হাসান মাহমুদ উইকেট পেলে উদযাপনই করেন না!

বাহ্যিকভাবেও তাঁকে দেখে খুব শান্ত-শিষ্ট মনে হয়।তিনি কথা কম বলেন, বললেও তা ধীরেসুস্থে। তিনি এবার মনের দিক দিয়েও দিলেন মহানুভবতার পরিচয়।

প্রত্যেক বোলারের উদযাপনের নিজস্ব কতই না ধরন থাকে। প্রতিপক্ষের উইকেট পেয়ে একেক সময়ে একেকরকম বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। কিন্তু

বোলারদের নিজস্ব উদযাপনের কত ভঙ্গি থাকে, কেউবা আবার একেক সময়ে একেকরকম বুনো উল্লাসেও মেতে ওঠেন। কিন্তু সেসব থেকে অনেকটাই দূরে হাসান মাহমুদ। রোমাঞ্চকর মুহূর্তে উইকেট শিকারের পর মুচকি হাসিই যেন তার সকল স্বস্তি।

জীবনের প্রথম ফাইফার পেয়ে সংবাদ সম্মেলন আসেন তিনি। সেখানে উইকেট পাওয়ার পর কেন উদযাপন করেন না? এমন প্রসঙ্গে হাসান হেসে বলেন, ‘করি না … জাস্ট এমনিতেই। ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর আসলে উদযাপন করলে ও আরেকটু মন খারাপ বেশি হবে হয়তো। এটা ভেবে করি না।’

ক্রিকেট বিশ্ব তো বটেই সম্পূর্ণ ক্রীড়া জগতেই কেই বা এভাবে ভাবেন! তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের একজন গুরুত্বপূর্ণ বোলার। তিনি ইতোমধ্যেই আলো কাড়তে শুরু করেছেন। শুধু মানবতার পরিচয়ে নয় আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বোলিংয়েও। সাবেক খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোদ্ধাদের বেশ মনে ধরছে হাসানকে।

সবাই যখন মুখিয়ে ছিলেন হাসানকে জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতাতে দেখার জন্য, ঠিক তখনই ইনজুরি তাকে পিছিয়ে দেয়। হাসানের ক্যারিয়ারের শুরুথেকেই হানা দিয়েছিল ইনজুরি। পিছিয়ে পড়া হাসান এখন বলে গুটি গুটি পায়ে জায়গা করে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায়।

ক্যারিয়ার শেষে ৫০০টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক হতে চান হাসান মাহমুদ। একদিন হয়ত স্বপ্ন পূরণ হবে তার। গোটা ক্রিকেট সমর্থকদের অপেক্ষা সেদিনটার।

মার্টিনেজের দেশে জামাল ভূঁইয়া

বিমানবন্দের বের হবার গেটটাতে ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে জামাল। বাংলাদেশের অধিনায়ক অপেক্ষা করছেন আর্জেন্টাইন তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। একটু যদি দেখা যায়? একটু যদি কথা বলে যেত!

সেই ছবিটা আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই। নিয়তির কী জাদু। এবার জালাম ভূঁইয়া নিজেই খেলবেন আর্জেন্টাইন ক্লাবের হয়ে।

মাস ছয়েক পর জানা গেল, জামালের আর্জেন্টিনার ক্লাবে যোগ দেওয়ার খবর সত‍্যিই। আর্জেন্টিনার তৃতীয় স্তরের লিগ তোরনেয়ো ফেদারেল ‘এ’-তে খেলা ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের তারকা এই মিডফিল্ডার।

জামালই দেশের একমাত্র ফুটবলার যিনি আর্জেন্টিনার কোনো ক্লাবের খেলতে যাচ্ছেন।সূত্র থেকে জানা গেছে, সোল ডে মায়োর সাথে দেড় মৌসুমের জন্য মাসিক ১৪ হাজার ডলার বা ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি সেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

সোল দে মাইয়ো তাদের অফিসিয়াল ফেসবুকে ছবি ও বার্তা পোস্ট করে লেখে জামাল ভূঁইয়াকে আর্জেন্টিনাতে স্বাগত জানাই এবং সোল দে মাইয়ো পরিবারের জন্য এটি একটি রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। আমরা তার এই দলের সাথে অনেক সাফল্য কামনা করি এবং আশা করি, তার উপস্থিতি ক্লাবের ধারাবাহিক উন্নতি ও সফলতায় অবদান রাখবে। একটি চমৎকার মৌসুম কাটান এবং মাঠে আপনার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করুন।

অবশ্য খানিক বাদেই পোস্টটি সরিয়ে নেয় সোল দে মাইয়ো।

জানা গেছে, আগামী মৌসুমের পুরোটা সময়ই জামালকে পাবে সোল ডে মায়ো। আগামী ২৭ আগস্ট ক্লাবটির হয়ে অভিষেকও হবে তার।

তিন নাম্বারে ফিরবেন সাকিব?

আরেকটা বিশ্বকাপে সাকিব খেলবেন কোন পজিশনে? গতবারের মত থাকবেন নাম্বার থ্রিতেই? নাকি এবার জায়গাটা ছেড়ে দিবেন শান্তর জন্য। সে নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।

 

টেকনিক্যালি দেশের সেরা ক্যাপ্টেনকে আবারও নাম্বার তিন পজিশনে দেখতে আগ্রহী অনেকেই। তবে এবার ভিন্ন চোখে ব্যাপারটা নিয়ে মন্তব্য করলেন সাবেক ক্যাপ্টেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তার বিশ্লেষণে সাকিবের অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চটুকু ব্যবহার করতে হলে ৪ বা ৫ নম্বর পজিশনে খেলার বিকল্প দেখছেন না তিনি।

সুজন বলেন, “যেহেতু তিনে এখন শান্ত করছে(ব্যাটিং) তাই আমার মনে হয় একটু ম্যাচিউর ব্যাটারের নাম্বার পাঁচ এ থাকাই ভালো। যদিও এটা সাকিবের কল তবুও আমি আমি থিংক করি তিনে শান্ত থাকা ভালো।”

ক্যাপ্টেন কোচের মত উপেক্ষা করে নাম্বার তিনে ব্যাট করে ব্যাটার সাকিব গত বিশ্বকাপে যে পারফরম্যান্স করেছেন তা এখনও প্রত্যেকের চোখে ভাসছে। আর তাই তো এখনো ভক্ত কূল থেকে শুরু করে অনেক ক্রিড়া বিশ্লেষক কিংবা সাবেক ক্রিকেটারের ও চাওয়া সাকিব আবারও ব্যাট করুক রুপকথার গল্প রচনা করা পজিশন নাম্বার তিনে। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন নাম্বার তিন পজিশনে দারুণ মানিয়ে নিয়েছেন বর্তমানে নাম্বার তিনে ব্যাট করা নাজমুল হোসেন শান্ত, তাই তাকেই ছেড়ে দেওয়া উচিত এই পজিশন।

পরিসংখ্যান ও কিন্তু কথা বলে শান্তর হয়েই। নাজমুল হোসেন শান্ত গতবছরের মাঝামাঝিতে দলে কামব্যাক করার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছেন ১৫ ইনিংসে। ১৫ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৫ গড়ে নামের পাশে যোগ করেছেন ৫২৫ রান।

এই সময়ে নাম্বার তিনে ব্যাট করা সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটারদের তালিকায় আছেন পাঁচ নম্বরে। আর টেস্ট খেলুড়ে ব্যাটারদের মাঝে আছেন তিন নম্বরে। টেস্ট খেলুড়ে দলের তিন নম্বরে ব্যাট করা ব্যাটারদের সর্বোচ্চ রানের হিসাব করলে শান্তর সামনে আছেন শুধু বিরাট কোহলি এবং বাবর আজম।

আর তাই তো নাম্বার তিন পজিশনে এলোমেলো করতে নারাজ খালেদ মাহমুদ সুজন। তার চাওয়া সাকিব তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৪,৫ নম্বরে ব্যাটিং করে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে তবে নায়কের বেশে মাঠ ছাড়বেন।

বিশ্বকাপে খেলবেন স্টোকস

নির্বাচকের কথায় শুরু হওয়া গুঞ্জনই অবশেষে সত্যি হলো, অবসর ভেঙে আবারও একদিনের ক্রিকেটে ফিরছেন বেন স্টোকস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা পাওয়ার মাধ্যমে অবসান হলো বেশ কিছুদিনের জল্পনা কল্পনার।

স্টোকসের পথে হেঁটেই গত বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের নায়ক স্টোকসকে আরো একটি বিশ্বকাপের সহযোদ্ধা রুপে ফিরে পাচ্ছেন বাটলার।
ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের নির্বাচকের কথায় গুঞ্জন শুরু হলেও প্রতিবেশী ক্রিকেট পরাশক্তি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণার মাধ্যমে বিষয়টি সত্যতায় রুপ নিল।

গত বছরের জুলাইয়ে লাল বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন স্টোকস। অবশ্য বিদায় বলার পূর্বেই হয়ে উঠেছিলেন ইংল্যান্ডের জীবন্ত কিংবদন্তি। নাটকীয় বিশ্বকাপ ফাইনালের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি জিতিয়ে পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নাইট’ উপাধি।

লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হওয়ার পর, সাদা পোশাকের ক্রিকেটটিতে অনেকদিন ধরে ধুকতে থাকা ইংল্যান্ড দলকে আবারও চাঙা করে তুলেছিলেন তিনি। কোচ ম্যাককালামের সাথে বাজবল রসায়ন বেশ ভালোভাবেই জমে ওঠার প্রমান পাওয়া যায় অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরের সিরিজগুলোর দিকে তাকালেই।

তবে সাদা বলের ক্রিকেটে স্টোকসের অভাব ঠিকই বোধ করছিলেন ক্যাপ্টেন বাটলার। স্টোকসের বিদায়ের পর এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ানো ৯ ওয়ানডে ম্যাচের ৬টি ম্যাচেই যে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে।

আর তাই আসন্ন বিশ্বকাপে দলের শক্তিমত্তা ফিরিয়ে আনতে স্টোকসের সাথে আলোচনায় বসেন স্বয়ং ক্যাপ্টেন বাটলার।
এনিয়ে ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ কোচ ম্যাথু মট জানিয়েছিলেন, স্টোকসকে ফেরাতে আলোচনায় বসবেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জস বাটলার। বাটলারকে অবশ্য নিরাশ করেননি স্টোকস। সাড়া দিয়েছেন তার ডাকে এবং গায়ে জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইংল্যান্ডের রঙ্গিন জার্সি।
দল ঘোষনার সময় স্টোকসের ব্যাপারে নির্বাচক লুক রাইট বলেন, ‘সাদা বলে আমাদের যে মেধা, সেটিরই পরিচায়ক দুটি(ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি) শক্তিশালী দল ঘোষণা করতে পেরেছি আমরা। বেন স্টোকসের ফিরে আসার মাধ্যমে তার ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য ও নেতৃত্বের গুণ সেখানে বাড়তি কিছু যোগ করবে। আমি নিশ্চিত প্রতিটি সমর্থক ইংল্যান্ডের ওয়ানডে জার্সিতে তাকে ফিরতে দেখাটা উপভোগ করবে।’

অবসর ভেঙে দলে ফেরার পর নেটিজেনদের সাথে মজা করতে ভুলেননি স্টোকস। এ্যাসেজের দল ঘোষনার পর যখন মঈন আলীকে দলে দেখা গেল তখন মঈন আলী বলেছিলেন, স্টোকসের পক্ষ থেকে এ্যাসেজে ফেরার আমন্ত্রণে তার প্রথম জবাবটি ছিলো ‘LOL’
সেই হাসির মূহুর্তটি নেটিজেনদের আবারও মনে করে দিয়েছেন স্টোকস। দল ঘোষনার পর এক টুইট করেন যিনি। তিন অক্ষরের সেই টুইটে লেখা ছিলো ‘LOL’

সবমিলিয়ে আবারও দারুণ একটি দল নিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।

এশিয়া কাপের ওপেনার তামিম?

যুব বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তানজিদ তামিম এবার প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। যাকে দেখে ছোটবেলা থেকে অনুপ্রেরিত, সেই তামিম ইকবালের জায়গায়ই ডাক পেয়েছেন স্বপ্নের লাল-সবুজ জার্সি পড়ে নেওয়ার।

যুব বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করা তামিম, ব্যাচের অন্য সবার মতো বিসিবির রাডারে ছিলেন শুরু থেকেই। তবু তিনি ভাগ্যকে কিছুটা দোষারোপ করতেই পারেন! ব্যাচের অন্য অনেকে জাতীয় দলে জায়গা পাকাপোক্ত করলেও সুযোগ হচ্ছিল নাহ তামিমের। তবে নিজের জায়গা থেকে পারফর্ম করে গেছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপেও নজর কেড়েছেন সবার।
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৩৯ বলে ৫১, ওমানের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৬৮ এবং ভারতের বিপক্ষে ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তামিম।

ইমার্জিং এশিয়া কাপে দারুণ পারফরম্যান্সের পর তাই তামিমের জায়গায় সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছেন তিনি। ইনজুরিতে তামিম এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলে নির্বাচকরা কালবিলম্ব না করে তামিম ইকবালের জায়গায় ডেকে নেন তানজিদ তামিমকে।

তামিমের জায়গায় ডাক পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তানজিদ তামিম বলেন, “তামিম ভাইয়ের যে কথাটা বললেন উনি সবার জন্য আইডল। ওনাকে দেখে বড় হয়েছি আমি। তো চেস্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার, জায়গাটা ধরে রাখার।
সত্যি কথা বলত, খেলা দেখার ইন্সপায়ারেশন পেয়েছি যেহেতু ওনার নামের মিল ছিল। এইজন্য ছোট থেকেই ওনার খেলা বেশি দেখা হইছে। উনি আমাদের জন্য আইডল। ওনার খেলা দেখে অনেক কিছু শেখার চেস্টা করি। ”

এছাড়াও তামিমের জায়গায় খেলাটা প্রেশার কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন ” প্রফোশনাল ক্রিকেট খেলি, এটা প্রেশারের খেলা। খেলায় অনেক ধরনের সিচুয়েশন থাকে, জিনিসটা যত তাড়াতাড়ি হ্যান্ডেল করতে শিখব তত তাড়াতাড়ি আমরা বেটার ক্রিকেট খেলতে পারবো”

পরিশ্রম যে সাফল্যের চাবিকাঠি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তানজিদ তামিম। বিকেএসপি থেকে পড়ালেখা না করলেও উপজেলা-জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট থেকে পরিশ্রম করে পারফর্মের মাধ্যমে উঠে এসেছেন দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তাই নিজের শেকড় এর কথা বলতে ভুলেননি তামিম।
এনিয়ে তামিম বলেন, “আমাদের উঠে আসাটা এতো সহজ ছিল না। কারণ আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডটা বিকেএসপির ছিল না। আমরা অনেক ডিস্ট্রিক্ট, ডিভিশন, ঢাকা লিগ খেলে এই জায়গায় উঠে আসতে হয়েছে । তো আলহামদুল্লিলাহ বগুড়ায় আরও অনেক ট্যালেন্টেড প্লেয়ার আছে, ইনশাল্লাহ তারাও উঠে আসবে।”

পরিশ্রম যার সাফল্যের মন্ত্র তার লক্ষ্য যে বড় কিছু তা কল্পনা করে নিতে খুব বেশি কষ্ট হয় নাহ। তাই তামিমের স্বপ্ন ও দেশের হয়ে বড় কিছু জয়ের। আর তামিমের মত যারা একবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তাদের বিশ্বকাপ বিনে অন্য ট্রফি জিতে মন ভরার কথা নয়।
নিজের স্বপ্ন নিয়ে তামিম বলেন, “আমরা যেটা অ্যাচিভ করছি সেটা তো পাস্ট এখন। সবার মধ্যে একটাই কথা হয় একটা স্বপ্ন যে বড়দের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। সবারই যখন দেখা হয়, সামনে যেহেতু ওয়ার্ল্ড কাপ একটা জিনিসই মাথায় কাজ করে, আমরা এশিয়া কাপ যত টুর্নামেন্টই খেলি ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে কিন্তু ওয়ার্ল্ড কাপ থেকেই যায়, তো ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করব এবার। যদি কপালে থাকে ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে।”

নাঈম আনামুলদের আসা যাওয়ার মিছিলে তাই এবার ‘পরিশ্রম’ মন্ত্রে মন্ত্রমুগ্ধ তানজিদ তামিমে ভরসা গোটা দেশের।

বিশ্বকাপের আগেই আসছে নিউজিল্যান্ড

১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পা রাখবে নিউজিল্যান্ড। মাঠে নামবে নিজেদের হারানো সম্মান ফিরে পেতে। চূড়ান্ত হয়েছে দিনক্ষণ। বিশ্বকাপের আগেই ওয়ানডে ফরম্যাটে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

বাংলাদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিলো ২০১৩ সালে। সেবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা দিয়েছিলো বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে একদিনের ক্রিকেটে তৃতীয় হ্যাট্রিক করেছিলেন রুবেল হোসেন। ঐ সিরিজের পর বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি দুই দল।

তাই এবার বেশ প্রস্তুতি নিয়েই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে সন্তোষজনক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেড়ে নিতে চায় কিউই রা।

একইভাবে বাংলাদেশের জন্য সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের মাঝে স্যান্ডউইচ সিরিজটিতে ইনজুরি থেকে কামব্যাক করবেন দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের দলে নেই তিনি।
তাই বিশ্বকাপের আগে নিজের ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে নিউজিল্যান্ড সিরিজকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখছেন তামিম।

সিরিজটি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে দুই মাসেরও কম সময় হাতে পাবেন ক্যাপ্টেন সাকিব। আর নিউজিল্যান্ড সিরিজটি হবে তার ক্যাপ্টেন্সি ফিরে পাবার পর দ্বিতীয় এ্যাসাইনমেন্ট।
এই সিরিজটি শুরু হওয়ার পূর্বেই ঘোষণা হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। তাই অনেকটা বিশ্বকাপের দল নিয়েই মাঠে নামবেন তিনি। তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজটি বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে পাচ্ছেন ক্যাপ্টেন সাকিব।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী দুটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২৩ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের পর। টেস্ট সিরিজটি খেলতে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে ২১ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে ২৮ নভেম্বর। দ্বিতীয় এবং শেষ ওয়ানডে শুরু হবে ৬ই ডিসেম্বর।
টেস্ট সিরিজের ভেন্যু এখনও নির্ধারিত হয়নি।

আমেরিকায় মাঠে নামছে নাসিররা

যুক্তরাষ্ট্রের লীগে যুক্ত হলো রংপুর রাইডার্স। ইউএস মাস্টার্স টি১০ নামের লীগে দেখা যাবে দলটিকে। গতবছর একটি দলের সাথে পার্টনারশিপ করেছিল রংপুর রাইডার্স। এবার তাদের সাথে জোট বেঁধে গঠন করলো নতুন দল। আটলান্টা ফায়ার নামে বদলে তাই দলটির নাম এবার আটলান্টা রাইডার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন একটি টি১০ লীগের নাম মাস্টার্স টি১০ লীগ। লীগটি যৌথ ভাবে আয়োজন করবে আবুধাবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠান। আবুধাবি টি১০ এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এমএসসি।

মাস্টার্স টি১০ লীগে রয়েছে বাংলাদেশের প্লেয়ারের আধিক্য। রংপুর রাইডার্স এর দল হওয়ায় দলটিতে দেখা যাবে ৫ বাংলাদেশিকে। দলে আছেন ফরহাদ রেজা, নাসির হোসেন এর মতো তারকা অলরাউন্ডার।
এছাড়াও দলে আছেন বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানি। ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি এর সাথে আছেন ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম কামরুল ইসলাম রাব্বি।

বাংলাদেশের পাচজন ছাড়াও দলে আছেন আরো বেশ কয়েকজন তারকা। উইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্স, ভারতের রবিন উথাপ্পা, অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসির মতো ক্রিকেটার আছেন দলটিতে। এছাড়া আরো আছেন, জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফান, উইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো এর মতো ক্রিকেটার।

মাস্টার্স টি১০ লীগের খেলা শুরু হবে আগামীকাল ১৮ই আগস্ট। প্রথম ম্যাচেই টেক্সাস চার্জার্স এর মুখোমুখি হবে আটলান্টা রাইডার্স। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধা ৭টায়।

পৃথিবী ছাপিয়ে যার বিস্তৃতি

লিওনেল আন্দ্রেস মেসি, অনেকে তাকে লিও মেসি বলেও ডাকেন। ফুটবল বিশ্ব যার নাম কখনও ভুলবে না। আর্জেন্টাইন এ খেলোয়াড় পৃথিবীর যে কোনো গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পরিচিত। মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের ক্যারিয়ার শুরুর জন্য আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে পারি জমান। যোগ দেন বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবে।

২০০৪ সালের অক্টোবর, ১৭ বছর বয়সে ঝাকড়া চুলে অভিষেক ঘটে তার। তারপর থেকে টানা ৩ বছর ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলতে থাকেন। ২২ বছর বয়সে হাতে তুলে নেন তার ১ম ব্যালন ডি’র। গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট নিয়ে ২০০৫ ফিফা ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেন।

মেসি আর্জেন্টিনার কনিষ্ঠ ফুটবলার যিনি ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ এ গোল করেন। ২০০৭ কোপা আমেরিকার ফাইনালেও সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের পর থেকে আর্জেন্টিনাকে তিনটি ফাইনালে নেতৃত্ব দেন।

২০১৬ সালে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তা আবার পুনঃবিবেচনা করে মাঠে ফিরে আসেন। নেতৃত্ব দেন আর্জেন্টিনার ফুটবল দলকে। সেই নেতৃত্ব থেকে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জয় করে। পুরো দলের অর্জন হলেও কৃতিত্ব যায় অধিনায়ক লিওনেল মেসির। তাইতো আসরের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব তার ঝুলিতে যায়।

২৪শে জুন ১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনার রোজারিও-তে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। ছোট বয়সে আর্জেন্টিনা ছেড়ে গেলেও জন্ম স্থানকে তিনি কখনোই ভোলেননি। তাদের পরিবারের পুরনো বাড়িটি এখনও রয়েছে স্বস্থানে। নাড়ি পোতা ভিটেমাটি চাইলেই কি ছেড়ে আসা যায়!

নিভে যাবার আগে আবারো জ্বলে উঠতে চান রুবেল

এখন অবধি বাংলার মাটিতে টাইগাররা যতগুলো “বাংলাওয়াশ” করেছে তার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই অন্যতম ২০১৩ এর নিউজিল্যান্ডের “বাংলাওয়াশ”। আর এই সিরিজ নিয়ে কথা বলতে গেলে বা এর স্মৃতিচারণায় চোখের সামনে ভেসে ওঠে রুবেল হোসেনের সেই আগ্রাসী অবতার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একসময়ের নিয়মিত ফার্স্ট বোলার রুবেল হোসেন, গতি আর আগ্রাসনই ছিল যার মূল পরিচয়।

ক্যারিয়ারের শুরুতে বলের গতিতে চোখ ছানাবড়া করে তুলে নিতেন তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের উইকেট। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় কোথায় হারিয়ে গেলেন দলের একসময়কার অন্যতম ভরসার নাম রুবেল হোসেন? গ্রামীনফোন পেসার হান্টের মাধ্যমে তিনি নির্বাচকদের নজর কাড়েন । তারই ধারাবাহিকথায় তিনি জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হন বাগেরহাট জেলা থেকে উঠে আসা এই ফাস্ট বোলার।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি নিয়মিতভাবে ১৪৫ কি.মি গতিতে বল করতেন। রিভার্স সুইং করে ব্যাটসম্যানকে ফাঁদে ফেলাই সাধারণত তার শক্তিমত্তার প্রধান জায়গা। বোলিংয়ের এঙ্গেল ব্যাবহার করে প্রায়শই ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলতেন এই বোলার।

ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা স্পেলের মধ্যে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৬ রানে ৬ উইকেট স্মৃতিতে গেঁথে থাকার মত। এই ছয় উইকেটের মধ্যে রয়েছে হ্যাট্রিকও। এরপর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরেদ্ধে সেই অসাধারণ স্পেলটাকে সাত-পাঁচ না ভেবেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা হিসিবে আখ্যায়িত করা যায়। জেমস অ্যান্ডারসনকে ইয়র্কারে বোল্ড করার মাধ্যমে জন্ম দিয়েছিলেন সেই আইকনিক মুহূর্তের। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনালে উঠেছিল।

তবে, এই ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকেই পারফর্মেন্স খারাপ হতে থাকে রুবেল হোসেনের। যেখানে ২০১৫ পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৫.৫৯ ইকোনমি তে বল করে নিয়েছিলেন ৭৭ উইকেট। যেখানে গড় ছিল ৩২.৭১। সেখানে ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৫.৮৭ ইকোনমিতে বল করে ৩৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। যেখানে বোলিং গড় ৩৭.২৮। এরমাঝে বাদ পড়েছেন কয়েকবার আবার ফিরেছেন অভিজ্ঞতার বলে।

একসময়ের দলের ভরসা রুবেল হোসেন বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বশেষ লাল সবুজ জার্সিটা গায়ে জড়িয়েছেন ২০২১ সালে। আর এরই মধ্যে অনেক অনাড়ম্বর ভাবেই ২০২২ সালে সাদা জামা ও লাল বলকে বিদায় জানিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। ২৭ টেস্ট খেলে রুবেলের উইকেট কেবল ৩৬টি। বোলিং গড় ৭৬.৭৭, ১০টির বেশি টেস্ট খেলা বোলারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে বোলিং গড় তারই!

গত বিপিএলের ফাইনালে ১৭তম ওভারে ২৩ রান দিয়ে ওই ওভারেই শিরোপা থেকে ছিটকে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। তার দায়ভার নিজের বলে মনে করেন এই ফার্স্ট বোলার। তবুও, রুবেল আশা করেন তিনি ফিরে আসবেন। আবারো লাল সবুজ জার্সিতে সাদাবলের রিভার্স সুইংয়ে ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌছে দিবেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে থাকতে চান এজন্য পার্ফমেন্স দিয়ে নজড় কাড়তে চান নির্বাচকদের।

বৃষ্টি ভেজা ম্যাচে মাশরাফির হাফ সেঞ্চুরি

মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে আকাশের কান্না থামলেও ড্রেসিংরুমে অঝোরে কেঁদে চলেছিলেন মমিনুল হক, মেহেদি হাসানেরা। বৃষ্টির বাগড়ায় টসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের নেত্রকোণা মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যা নিকেতন ও দিনাজপুর একাডেমি স্কুলের জাতীয় পর্যায়ের প্রথম রাউন্ডের খেলার ফল।

ভারী বৃষ্টিতে সিটি ক্লাব মাঠ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়লে এই ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি হয় টসের মাধ্যমে। টসে জিততেই দিনাজপুর একাডেমি স্কুলের ছাত্ররা উল্লাসে ফেটে পড়ে। আর ততক্ষণে কান্নায় ভেঙে পড়ে নেত্রকোণার স্কুলের ক্রিকেটারেরা।


শুধু মিরপুরের ম্যাচটিই নয়, বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে অন্য তিনটি ভেন্যুতেও। টসে জিতে তাই সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পার নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় ও ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। তবে সুপার ওভারে গড়ায় ঢাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পঞ্চগড় করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ম্যাচট। এই ম্যাচে ৬ রানে জিতেছে পঞ্চগড়ের স্কুল।

মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যা নিকেতন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ২৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৮৬ রান। দিনাজপুরের মারুফ হোসেন পেয়েছে ২টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছে ফয়সাল আহমেদ, তৌকির আহমেদ তুষার। মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যানিকেতনের মেহেদি হাসান ৪৪ রানে ছিল অপরাজিত।


গত বছর বিভাগীয় পর্বেই বাদ পড়ে মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যানিকেতন। কিন্তু এবার বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঢাকায় এসেছে দলটি। এভাবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পন্ড হয়ে যাওয়ায় হতাশ দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ শিমুল, ‘টসের মাধ্যমে হেরে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগছে আমাদের। অথচ এবার আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল। আমরা ফাইনালে খেলতে চেয়েছিলাম।’

দিনাজপুরের অধিনায়ক মারুফ হোসেনের কন্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস , ‘সবাই খেলতেই চায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আজ পুরো ম্যাচটি হয়নি। প্রকৃতির ওপর তো কারো হাত নেই। ভাগ্য সহায় হয়েছে আজ। কিন্তু পরের ম্যাচ জিততেই হবে। জিতেই আমরা ফাইনালে যেতে চাই।’

নারায়ণগঞ্জের শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল। বৃষ্টি শুরুর আগে ২৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে ১০৭ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫২ রান করে তাওয়াফ মাশরাফি। পার নওগাঁর সামিউল হাসান ২টি ও শ্রাবণ আলী নিয়েছে ১টি উইকেট।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে খুলনা গাজী মেমোরিয়াল হাইস্কুল টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে। খুলনার রুবাইয়াত করে সর্বোচ্চ ৩৬ রান। ঝালকাঠি সরকারি স্কুলের রিফাত খান ২টি উইকেট পেয়েছে। ১টি করে উইকেট পেয়েছে রুম্মন মৃধা, মেহেদি ও গোলাম রাব্বী।