মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে আকাশের কান্না থামলেও ড্রেসিংরুমে অঝোরে কেঁদে চলেছিলেন মমিনুল হক, মেহেদি হাসানেরা। বৃষ্টির বাগড়ায় টসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের নেত্রকোণা মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যা নিকেতন ও দিনাজপুর একাডেমি স্কুলের জাতীয় পর্যায়ের প্রথম রাউন্ডের খেলার ফল।
ভারী বৃষ্টিতে সিটি ক্লাব মাঠ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়লে এই ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি হয় টসের মাধ্যমে। টসে জিততেই দিনাজপুর একাডেমি স্কুলের ছাত্ররা উল্লাসে ফেটে পড়ে। আর ততক্ষণে কান্নায় ভেঙে পড়ে নেত্রকোণার স্কুলের ক্রিকেটারেরা।
শুধু মিরপুরের ম্যাচটিই নয়, বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে অন্য তিনটি ভেন্যুতেও। টসে জিতে তাই সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পার নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় ও ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। তবে সুপার ওভারে গড়ায় ঢাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পঞ্চগড় করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ম্যাচট। এই ম্যাচে ৬ রানে জিতেছে পঞ্চগড়ের স্কুল।
মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যা নিকেতন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ২৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৮৬ রান। দিনাজপুরের মারুফ হোসেন পেয়েছে ২টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছে ফয়সাল আহমেদ, তৌকির আহমেদ তুষার। মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যানিকেতনের মেহেদি হাসান ৪৪ রানে ছিল অপরাজিত।
গত বছর বিভাগীয় পর্বেই বাদ পড়ে মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যানিকেতন। কিন্তু এবার বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঢাকায় এসেছে দলটি। এভাবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পন্ড হয়ে যাওয়ায় হতাশ দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ শিমুল, ‘টসের মাধ্যমে হেরে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগছে আমাদের। অথচ এবার আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল। আমরা ফাইনালে খেলতে চেয়েছিলাম।’
দিনাজপুরের অধিনায়ক মারুফ হোসেনের কন্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস , ‘সবাই খেলতেই চায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আজ পুরো ম্যাচটি হয়নি। প্রকৃতির ওপর তো কারো হাত নেই। ভাগ্য সহায় হয়েছে আজ। কিন্তু পরের ম্যাচ জিততেই হবে। জিতেই আমরা ফাইনালে যেতে চাই।’
নারায়ণগঞ্জের শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল। বৃষ্টি শুরুর আগে ২৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে ১০৭ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫২ রান করে তাওয়াফ মাশরাফি। পার নওগাঁর সামিউল হাসান ২টি ও শ্রাবণ আলী নিয়েছে ১টি উইকেট।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে খুলনা গাজী মেমোরিয়াল হাইস্কুল টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে। খুলনার রুবাইয়াত করে সর্বোচ্চ ৩৬ রান। ঝালকাঠি সরকারি স্কুলের রিফাত খান ২টি উইকেট পেয়েছে। ১টি করে উইকেট পেয়েছে রুম্মন মৃধা, মেহেদি ও গোলাম রাব্বী।