১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পা রাখবে নিউজিল্যান্ড। মাঠে নামবে নিজেদের হারানো সম্মান ফিরে পেতে। চূড়ান্ত হয়েছে দিনক্ষণ। বিশ্বকাপের আগেই ওয়ানডে ফরম্যাটে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
বাংলাদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিলো ২০১৩ সালে। সেবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা দিয়েছিলো বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে একদিনের ক্রিকেটে তৃতীয় হ্যাট্রিক করেছিলেন রুবেল হোসেন। ঐ সিরিজের পর বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি দুই দল।
তাই এবার বেশ প্রস্তুতি নিয়েই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে সন্তোষজনক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেড়ে নিতে চায় কিউই রা।
একইভাবে বাংলাদেশের জন্য সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের মাঝে স্যান্ডউইচ সিরিজটিতে ইনজুরি থেকে কামব্যাক করবেন দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের দলে নেই তিনি।
তাই বিশ্বকাপের আগে নিজের ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে নিউজিল্যান্ড সিরিজকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখছেন তামিম।
সিরিজটি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে দুই মাসেরও কম সময় হাতে পাবেন ক্যাপ্টেন সাকিব। আর নিউজিল্যান্ড সিরিজটি হবে তার ক্যাপ্টেন্সি ফিরে পাবার পর দ্বিতীয় এ্যাসাইনমেন্ট।
এই সিরিজটি শুরু হওয়ার পূর্বেই ঘোষণা হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। তাই অনেকটা বিশ্বকাপের দল নিয়েই মাঠে নামবেন তিনি। তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজটি বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে পাচ্ছেন ক্যাপ্টেন সাকিব।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী দুটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২৩ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের পর। টেস্ট সিরিজটি খেলতে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে ২১ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে ২৮ নভেম্বর। দ্বিতীয় এবং শেষ ওয়ানডে শুরু হবে ৬ই ডিসেম্বর।
টেস্ট সিরিজের ভেন্যু এখনও নির্ধারিত হয়নি।